Tuesday, May 28, 2019

ঢাবি "খ" ইউনিটে ভর্তির স্বপ্ন পূরণ হয় না যেসব ভুলের কারণে!


ঢাবি তে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার মূল কারণই হলো সচেতনতা এবং স্বচ্ছ ধারণার অভাবহেতু কোচিং এর ফাঁদে পড়ে সময় নষ্ট করা এবং সেইসঙ্গে স্মার্টলি পড়াশুনা করতে না পারা। আর কিছু ছোট কারণও আছে। সব মিলিয়ে বেশ কিছু কারণ আছে। কারণসমূহ নিম্নরূপ:

১. নিজে ভালো ছাত্র বলে অতিরিক্ত আশাবাদী হওয়া: আমি তো ভালো ছাত্র, আমার চান্স তো হবেই। এই ভেবে পড়াশুনায় সিরিয়াস না হওয়া। তারা এটা বুঝতে পারে না যে ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার মতো নয় যে এখানে অল্প পড়ার মধ্যে থেকে প্রশ্ন কমন আসবে।

২. আগের মতো আরাম আয়েশে দিন কাটানো। কিন্তু ভার্সিটি ভর্তি প্রস্তুতির জন্য দৈনিক ৮-১০ ঘণ্টা পড়াশুনা করতে হবে এবং স্মার্টলি।

৩. স্মার্টলি পড়াশুনা না করা, দৈনিক ৮ ঘণ্টা স্মার্টলি পড়াশুনা করলেই চান্স হবে আর হাদারামের মতো করে দিনে ১৬ ঘন্টা পড়াশুনা করলেও চান্স পাওয়া সম্ভব না। এজন্যই আমি আমার প্রাইভেটের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রথম এক সপ্তাহ ধরে শেখাই কীভাবে স্মার্টলি পড়াশুনা করতে হয়।

৪. কোচিং এর ফাঁদে পড়া: নামী দামী কোচিংয়ে ভর্তি হওয়া, এবং এরূপ ধারণা করা যে আমি তো নামকরা কোচিংয়ে পড়ছি, মনেহয় এরা যা শেখাচ্ছে এই যথেষ্ট। কিন্তু আমি গবেষণা করে দেখেছি এদের ৪০-৪৮ টি শিট আর ইয়া মোটা গাইড বই হতে ঢাবি "খ" ইউনিটে ৩৫-৪০% এর বেশি প্রশ্ন কমন আসে না।

৫. আর একদল পাগল আছে যারা ঢাকায় আসে কোচিং করার জন্য। ঢাকায় কোনো কিছুই অন্য স্থানের চেয়ে বেশি ভালো পড়ানো হয় না; তারা বেশি ফি নেয় কারণ ঢাকায় বিল্ডিং এর ভাড়া ও টিচার খরচ বেশি এই জন্য। ঢাকায় সাধারণ ছাত্রদের জন্য কোনো ভালো কিছু নেই; সায়েন্সের উদ্ভাস ও রেটিনা ছাড়া অন্যসব কোচিং সেন্টারগুলো দুইটি কাজ করে— টাকার বিনিময়ে ভালো ছাত্রদের পরিচয় কিনে নেয় এবং তারা নটরডেম ও অন্যান্য কলেজের কিছু ভালো ছাত্রদের নিয়ে কয়েকটি স্পেশাল ব্যাচ বানিয়ে তাদেরকে আলাদাভাবে অনেক সময় নিয়ে পড়ায় আর এরা ০১ থেকে ৫০০ এর মধ্যে সিরিয়ালে থেকে চান্স পেলে তাদের ছবি বিজ্ঞাপনে দেয়। এভাবে দেশজুড়ে ছাত্রদের মন ভুলিয়ে ভর্তি নেয় কিন্তু ভালো পড়ায় না।
আর এই ছাত্রদের ঢাকার পরিবেশে সেটআপ হতেই একমাস এর মতো সময় ব্যয় হয়ে যায়।

৬. ভালো বই না পড়ে শিট এর বিগত প্রশ্ন মুখস্থ করতে বেশি সময় দেওয়া। বিগত প্রশ্ন দেখে ধারণা নিতে হবে যে কেমন প্রশ্ন হয় কিন্তু এই বিষয়টা ঠিকমতো না বুঝে সময় নষ্ট করে লাভ নেই এটা বুঝতে হবে, কারণ এটা বোর্ডের পরীক্ষা নয় যে একই প্রশ্ন বারবার কমন আসবে।

৭. কৃষক না হয়ে ফসল ফলাতে চাওয়া: বেশিরভাগ ছাত্রই আছে যারা নিয়ম কানুন ও কৌশল না শিখে বিগত প্রশ্নের উত্তর কীভাবে হলো তা শিখতে চায়, কিন্তু এটা শিখে সর্বোচ্চ ওই প্রশ্নটির উত্তর করা সম্ভব। কিন্তু নিয়ম কনুন ও কৌশলগুলো শিখলে সব প্রশ্নেরই উত্তর দেওয়া সম্ভব। কিন্তু সেটা করার মতো ধৌর্য এই ছাত্রগুলোর থাকে না।

৮. পেপার না পড়া: একদল ছাত্রের ধারণা পেপার এর কী দরকার, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স পড়লেই তো হয়। কিন্তু এমন ৬০% ছুটখাট তথ্য আছে যেগুলো আমরা জানতাম না কিন্তু সাম্প্রতিক কোনো কারণে পেপারে এসেছে এবং স্মার্ট ছাত্র হিসেবে তা জানা দরকার, আর এসব তথ্য এমন কোনো বিশেষ সাম্প্রতিক ইস্যু নয় যে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এ তা আসবে, আর এসব পেপারে খুঁজতে গেলে একজন অনভিজ্ঞ ছাত্র তা অন্য দশটা অপ্রয়োজনীয় তথ্যের সঙ্গে একাকার করে ফেলবে। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ভাইয়াদের সাহায্য প্রতিদিন নিতে হয় যা খুবই অসুবিধাজনক। পরীক্ষার্থীদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে আমি 'নিউজপেপার ডাইজেস্ট' সম্পাদনা করে আসছি।

৯. পেপার পড়তে ধরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ধরতে না পেরে সময় নষ্ট করে অহেতুক জিনিস পড়া।

১০. সহজ প্রশ্নের উত্তর ভুল করা: পরীক্ষায় সহজ প্রশ্নের উত্তর ভুল করা মানে প্রতিযোগিতা থেকে ছিঁটকে পড়া। একজন ছাত্র হয়তো খুব কঠিন একটা প্রশ্নের উত্তর করলো যেটা বেশিরভাগ ছাত্রই ভুল করেছে কিংবা পারেনি বলে উত্তর দেয় নি। কিন্তু সহজ একটি প্রশ্নের উত্তর ভুল করাতে সে মাইনাস মার্ক পেয়ে অনেকের পিছে পড়ে গেল।
এজন্যই আমি এ বিষয়ে ৪-৬টি ক্লাসে এটার কৌশলই শেখাই যেন কিছুতেই সহজ প্রশ্নের উত্তর ভুল না হয়।

আমি ফ্রি ক্লাস দেই এজন্য যে আমার স্বভাব হলো মানুষের উপকার করতে আমার ভালো লাগে; কিন্তু মানুষ এটাতে সায় দেয় না। কারণ, বাঙালির স্বভাব হলো ভালো জিনিস ফ্রি দিলে নিবে না কিন্তু মন্দ জিনিস সস্তায় দিলে তা নেওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়বে..।

© মোঃ মেহেদী হাসান
এমসিএএস গবেষক,
প্রতিষ্ঠাতা,
DU Kha Unit Admission Preparation Program (DUKUAPP)

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং সম্পর্কিত ভুল ধারণাসমূহ ও বাস্তবতা!


আমাদের অধিকাংশের ধারণা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য যা যা লাগে সব দেবে। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ব্যক্তিগতভাবে তোমার যা যা জানা ও শেখা দরকার তা কোচিং তোমাকে দেবে না, বরং তাদের ব্যবসা করার জন্য যা যা করা দরকার তা তারা করবে। এর উপরে আবার আছে কিছু সাদুরূপধারী অসৎ কোচিং যারা তাদের ব্যবসায় জন্য ধোঁকানীতি প্রয়োগ করে থাকে। এই লেখায় সেসবই বিস্তারিত বলবো।

প্রথমেই বলি কোচিংয়ে আসলে কী হয় সেই বিষয়ে। অধিকাংশ কোচিংয়ে প্রতি ঘণ্টায় একটা করে ব্যাচ পড়ানো হয়। আর এক ব্যাচের উঠে চলে যাওয়া ও অন্য ব্যাচের সিটে বসা এই কাজে ব্যয় হয় ৫ মিনিট। আর বসার পর পূর্ববর্তী শিটের উপর ২৫টি এমসিকিউ এর একটি মডেল টেস্ট নেওয়া হয় তাতে সময় দেওয়া হয় ১৫ মিনিট। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর তার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয় এবং সেই টেস্টে কে কত মার্ক পেলো তা আবার নাম ধরে ধরে কল করে এন্ট্রি করা হয়, এতে সময় যায় ১০ মিনিট। তাহলে টিচার পড়ানোর জন্য সময় পায় ৩০ মিনিট। এখন কথা হলো এই ৩০ মিনিট টিচার কী পড়ায়? আসলে এই ৩০ মিনিটে টিচার একটা হালকাপাতলা আলোচনা করে চলে যায় যা বুঝলে ভালো, না বুঝলে হাম্বা। নিজে কোনো একটা বিষয় না বুঝলে তা প্রশ্ন করে জেনে নেওয়ার মতো পরিবেশ ও সুযোগ সেখানে থাকে না। আর ক্লাস হয় সপ্তাহে ৩ দিন। ফলে সপ্তাহে তারা পাঠদান করে ৯০ মিনিট বা দেড় ঘন্টা।

অল্প কিছু ভালো কোচিং আছে যেগুলো প্রাই সবই সায়েন্সের। মানবিক সেক্টরটা হলো ধোঁকাবাজি ব্যবসার বড় সুবিধাস্থল; তারা ভালো শিক্ষক ও বেশি সময় দিয়ে না পড়িয়ে বরং একগাদা শিট ও গাইড ধরিয়ে দেয় ও প্রতিদিন মডেল টেস্ট নেয়। কারো কিছু জানার ঘাটতি থাকলে তা আর জানা বা শেখা সম্ভব হয় না। তাহলে কোচিংয়ের ক্রেডিট কোথায়? মডেল টেস্ট আর গাইড তো বাজার থোকেই কেনা যায়।

প্রাপ্ত তথ্যমতে সায়েন্স এর জন্য উদ্ভাস ও রেটিনা ভালো, আর্টস এর জন্য ফোকাস ভালো। কমার্স এর বিষয়ে ভালো এমন এককভাবে কেউ নাই। UCC এর কিছুই ভালো নয়, তারা মূলত পরিচয় কিনে থাকে।

পরিচয় কেনা তথা ধোঁকানীতি বিষয়টা ক্লিয়ার করি। এই নীতিতে অসৎ উপায় অবলম্বন করে কোচিংয়ের প্রচারণার জন্য ভালো ছাত্রদের পরিচয় কেনা হয়। আর এই পরিচয় কেনা হয় দুইভাবে।
প্রথমত, তারা ঢাকায় তাদের মেইন শাখায় নটরডেম ও অন্যান্য কলেজের কিছু ভালো ছাত্রদের নিয়ে কয়েকটি স্পেশাল ব্যাচ বানিয়ে তাদেরকে আবাসিক সুবিধাসহ আলাদাভাবে অনেক সময় নিয়ে পড়ায় আর এরা ০১ থেকে ৫০০ এর মধ্যে সিরিয়ালে থেকে চান্স পেলে তাদের ছবি বিজ্ঞাপনে দেয়। এভাবে দেশজুড়ে ছাত্রদের মন ভুলিয়ে ভর্তি নেয় কিন্তু ভালো পড়ায় না।
দ্বিতীয়ত, ঢাবির বিভিন্ন ইউনিটে ১ম থেকে ২০ তম স্থান অধিকারীদেরকে টাকা দিয়ে তাদের পরিচয় কিনে নেওয়া যে সে তাদের কোচিংয়ে পড়েছিল। টাকা দিয়ে তাদের কাছে থেকে একটি ফরম পূরণ করে নেবে ও ছবি নেবে। আর এটাকে তারা প্রমাণ হিসেবে দেখাবে যে অমুক তাদের ছাত্র ছিল।

কিছু অসৎ কোচিং বন্ধ করে দেওয়া দরকার এবং সবার আগে UCC বাতিল করা দরকার, ফালতু কোচিং। ২০১১ সালে ইংলিশ এর ১২টা শিট পড়ে মাত্র ২টা প্রশ্ন কমন পেয়েছিলাম DU এর "খ" ইউনিটে। অথচ সেই বছর English for Today (For Classes XI-XII) বোর্ড বই এর পড়ার লাইন হতে হুবহু ১২টি প্রশ্ন কমন ছিল, কিন্তু আমি সেটা পড়ার সময় পাইনি; UCC এর ফালতু শিট পড়ে সময় নষ্ট করেছি। যারা আবেগের বশে নাম ধাম দেখে UCC তে ভর্তি হয় তারা রামধরা খায়।
সরকার বন্ধ না করলেও আপনারা পাবলিকলি এসব কোচিংকে বয়কট করুন।

এবার আসি কোচিং এর গাইড ও শিট এর বিষয়ে। তার আগে একটা গল্প বলি। অনেক সময় গ্রামে যখন গরুর ডাক্তার আনা হয় ডাক্তার দেখে যে রোগ তেমন গুরুতর কিছু নয়, একটা ট্যাবলেট তিনবার করে দুইদিন খাওয়ালেই রোগ সেরে যাবে, তখন সে যদি ট্যাবলেটের নাম কাগজে লিখে দিয়ে বলে এটা এনে খাওয়ান, তাহলে গরুর মালিক ভাববে ওটা কী এমন চিকিৎসা দিল, ফলে সে বেশি ভিজিট দিতে চাইবে না। তাই ডাক্তার কৌশল করে একটা ভিটামিন ইনজেকশন দেয়; তখন গরুর মালিক ভাবে ইনজেকশন দিয়েছে, টাকা তো বেশি দিতেই হবে।
কোচিং এর ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটাই ঘটে থাকে। তারা যদি বলে লাইব্রেরি থেকে অমুক অমুক বই কিনে পড়েন, তাহলে তাদের নিজের আর থাকলো কী? এই পরামর্শের জন্য তো আপনি তাদেরকে বেশি টাকা দিতে চাইবেন না, তাই তারা ইয়া মোটা গাইড ও গাদা গাদা শিট তৈরি করে।

সত্য কথা হলো কোচিং তোমাকে কখনও নিরপেক্ষ পরামর্শ দিবে না, তারা তোমাকে যে পরামর্শ দিবে সেটা হলো তাদের ব্যবসায়ী পরামর্শ। তাই পরামর্শ নিতে চাইলে ভার্সিটি পড়ুয়া কোনো ভাইয়া/ আপুর কাছে পরামর্শ নাও; তারা তোমাকে নিরপেক্ষ ও বাস্তব পরামর্শ দিবে।

© মোঃ মেহেদী হাসান
এমসিএএস গবেষক,
প্রতিষ্ঠাতা,
DU Kha Unit Admission Preparation Program (DUKUAPP)

যে ভুল কখনওই করবে না!


তুমি যতো ভালো ছাত্রই হও না কেনো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা একটি অনিশ্চিত জিনিস। তাই আমার মতো ভুল কখনওই করবে না।
উপরের রেজাল্ট শিট দুটি লক্ষ্য করো। আমার নিজ জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, দুইটি ভুল কখনওই করবে না→
এক, কোচিংয়ের শিট ও গাইডগুলোকে কখনওই পূর্ণাঙ্গ সহায়িকা মনে করবে না।
দুই, শুধু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর খুব বেশি স্বপ্নশীল হবে না।

২০১১ সালে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় সিরিয়াল অনেক কাছাকাছি গিয়েও অল্পের জন্য চাঞ্চ পেলাম না। দেখতেই পাচ্ছো ইংরেজিতে কম নম্বর পেয়েছিলাম। কিন্তু কেনো সেটা জানো?
কোচিং থেকে দেওয়া ইংলিশ এর ১২টা শিট পড়ে মাত্র ২টা প্রশ্ন কমন পেয়েছিলাম DU এর "খ" ইউনিটে। অথচ সেই বছর English for Today (For Classes XI-XII) বোর্ড বই এর পড়ার লাইন হতে হুবহু ১২টি প্রশ্ন কমন ছিল, কিন্তু আমি সেটা পড়ার সময় পাইনি; UCC এর ফালতু শিট পড়ে সময় নষ্ট করেছি।

আর আমি সেকেন্ড টাইমে এতই বেশি পড়াশুনা করেছিলাম যে আমার মনে হয়েছিল ঢাবির "খ" ইউনিটে আমার চাঞ্চ হবেই হবে। তাই আমি ঢাবির বাইরে শুধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ফরম তুলেছিলাম। আর রংপুর আমার নিজের এলাকা হওয়ায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের A, B এবং C ইউনিটের ফরম তুলেছিলাম। তবে আমার প্রস্তুতি ছিল শুধু ঢাবির "খ" এর প্রশ্ন যেসব থেকে আসে ও যে ধাঁচের প্রশ্ন হয় সেসবের উপরে।
২০১২ সালে সেকেন্ড টাইম পরীক্ষার দিনে আমার আমাশয়ের পেটব্যথা শুরু হলো। পেট চেপে ধরে পরীক্ষা দিচ্ছিলাম, তবুও ইংরেজিতে ৩০ এর মধ্যে ২০.১০ পেয়েছিলাম; কিন্তু পেটব্যথায় ইংরেজিতে বেশি সময় চলে যাওয়াতে বাংলা ও সাধারণ জ্ঞানে এসে সময় শর্ট হয়, বেশি ভার্সিটিতে ফরমও তুলি নাই, আর যেসব তুলছি সেই টাইপের প্রিপারেশন নাই; ফলে টেনশনে তখন আমার শর্ট টাইম মেমোরি লসিং ও হ্যালোজিনেশন নামক দুইটি ব্রেইনের সমস্যা হয়। ফলে বাংলা ও সাধারণ জ্ঞানের জানা উত্তর গুলোও ভুলে যাই এবং কিছু পড়া জিনিসের উত্তর দাঁগাতে ভুল করি। ফলে সিরিয়াল এবারও পিছিয়ে গিয়ে ঢাবির স্বপ্ন হাওয়া হয়ে যায়।

তাই বলছি পরামর্শ শুধু সফল মানুষদের কাছ থেকেই নেবে না। সফল মানুষদের কাছে থেকে পরামর্শ তো নেবেই সেইসাথে যারা সফলতার খুব কাছে গিয়ে অল্পের জন্য ফসকে গিয়েছিলেন তাদের কাছ থেকেও পরামর্শ নেবে যে তাদের কী ভুল ছিল। এ বিষয়ে একটি লেখা লাইফ একাডেমির Advice Desk এ আছে। লেখাটি পড়তে এখানে—ক্লিক—করো

Thanks | ধন্যবাদ

DU Kha Unit Admission Preparation Program (DUKUAPP)
"বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির প্রাইভেট ব্যাচ"
(বিএ/ বিএসএস)
A Project by
Md. Mahadi Hasan
Phone: 01746315639