ক্যামাট হলো "Comprehensive Alternative Model Admission Test (CAMAT)" অর্থাৎ, উপলব্ধিমূলক বিকল্প ছায়া ভর্তি পরীক্ষা।
এখন প্রশ্ন হলো— এই উপলব্ধিমূলক পরীক্ষা কেনো দিতে হবে?
"ঢাবি" তে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ এখন মাত্র ১ বার। এর পূর্বে যখন সেকেন্ড টাইম চালু ছিল তখন দেখা যেতো বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীই সেকেন্ড টাইম থেকে চাঞ্চ পেতো। কারণ অধিকাংশ বাঙালির স্বভাব হলো ঠেকে শেখা; কিন্তু একবার ঠেকে শিখে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ তো নাই। তাহলে কী হবে?
এক্ষেত্রে CAMAT তোমার সেই ঠেকে শেখার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন করবে।
ক্যামাট দিলেই তুমি বুঝতে পারবে কোথায় তোমার ভুল হচ্ছে, কোথায় তোমার ঘাটতি আছে। তুমি তোমার সেই ভুলগুলো চিহ্নিত করে সেসব শোধরানোর ব্যবস্থা নিতে পারবে।
♦ ক্যামাট কীভাবে দিতে হয়?
ক্যামাট যেহেতু প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষা নেওয়ার মতো করে শুরু করা হয়নি কিংবা অনলাইনে GRE, o-Desk এর মতো মূল্যায়নকারী প্রোগ্রাম সংযুক্ত করা নাই তাই ফেসবুক কিংবা ব্লগে এনালগ পদ্ধতিতেই দিতে হবে।
সেজন্য প্রথমে এমসিকিউ এর জন্য একটি A4 সাইজের সাদা পাতা নিবে। তাতে MCQ উত্তরপত্রের মতো করে উত্তরপত্র তৈরি করবে। বাংলা এবং ইংরেজির জন্য ১৫ টি করে ও সাধারণ জ্ঞান এর জন্য ৩০ টি প্রশ্নের স্পেস তৈরি করবে। MCQ এর মতো প্রতিটি প্রশ্নের পাশে অপশন ক খ গ ঘ (ইংরেজির জন্য a b c d) স্থাপন করে উত্তরপত্র প্রস্তুত করবে। এটি ফটোকপি করে রাখতে পারো পরবর্তী ক্যামাট দেওয়ায় জন্য।
আর লিখিতর জন্য একটা ডিমাই সাইজ তথা University খাতা কিনে প্রস্তুত রাখো।
এবার ঘড়ি ধরে পরীক্ষা দাও। MCQ এর জন্য বৃত্ত ভরাট করবে; টিক চিহ্ন দিবে না, কারণ ভর্তি পরীক্ষার MCQ তে উত্তরপত্রে বৃত্ত ভরাট করতে হবে। MCQ পরীক্ষা শেষ করে লিখিত শুরু করবে।
প্রশ্নে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করবে। এবার সঠিক উত্তরপত্র দেখে নিজের উত্তরপত্র নিজেই মূল্যায়ন করবে। উত্তরের লিংক প্রশ্নের শেষে দেওয়া থাকবে।
♦ যা ভুলেও করবে না—
পরীক্ষা না দিয়ে বরং উত্তর দেখে দেখে ক্যামাট এর প্রশ্ন নিয়ে পড়াশুনা করবে না, এটি ভুল কাজ। এর ফলে ক্যামাট এর যে Benefit সেটা তুমি পাবে না। তোমার ভুল ভুলই থেকে যাবে, শোধরাতে পারবে না। এভাবে পড়ে তুমি হয়তো সবগুলো টেস্ট এর প্রশ্ন থেকে ১০ টার মতো প্রশ্ন কমন পাবে। কিন্তু এতে ক্যামাট এর উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হবে না। তুমি ইংরেজি বেশি সময় দেখতে গিয়ে বাংলা ও সাধারণ জ্ঞান এর সময় খেয়ে ফেলছো কি না, কিংবা ইংরেজি কঠিন মনে করে প্রথমে বাংলা ও সাধারণ জ্ঞান দিতে গিয়ে কোনো ফনফিউজিং প্রশ্ন নিয়ে ভেবে ভেবে সময় পার করে ইংরেজির সময় খেয়ে ফেলছো কি না ইত্যাদি ইত্যাদি ভুল করছো কি না তা ক্যামাট না দিলে বুঝতে পারবে না।
♦ কতটি ক্যামাট দেওয়ার সুযোগ আছে?
আমরা এ পর্যন্ত ৩টি ক্যামাট নিয়েছি; তার মধ্যে ১টি হলো ঢাবি "খ" এর পূর্বের পদ্ধতিতে "প্রীতি মডেল টেস্ট— ২০১৯" এবং ২টি হলো "ঢাবি'র এবারের সম্ভাব্য পদ্ধতিতে মডেল টেস্ট"।
ঢাবি এ সপ্তাহে 'লিখিত অংশের প্রশ্নের ধরন কীরূপ হবে' সে বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা দেবে। ঘোষণা দিলেই আমরা সেই পদ্ধতিতে আরও ৪টি মডেল টেস্ট নিবো, সেরূপ পরিকল্পনা আছে।
অতএব, যারা এখনও ক্যামাট দেওনি ক্যামাট দাও। আর যারা ভুল করে উত্তর দেখে পড়ে ফেলেছো তারা পরবর্তী ক্যামাটগুলো দিও।
ক্যামাট দিতে নিম্নের লিংকগুলোতে ক্লিক করুন—
প্রীতি মডেল টেস্ট : ২০১৯→ এখানে—ক্লিক—করুন।
ক্যামাট—১ : ২০১৯-২০→ এখানে—ক্লিক—করুন।
ক্যামাট—২ : ২০১৯-২০→ এখানে—ক্লিক—করুন।
লিখিত অংশের সৃজনশীল মডেল টেস্ট→ এখানে—ক্লিক—করুন।
আর হ্যা, Take exam এর বাংলা 'পরীক্ষা দেওয়া' আর Give exam এর বাংলা 'পরীক্ষা নেওয়া'; এটা নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। লেখাটির হেডলাইনের সবই ঠিক আছে।
© মেহেদী হাসান
প্রতিষ্ঠাতা, ঢাবি "খ" ইউনিট ভর্তি প্রস্তুতি প্রকল্প।
তোমার প্রশ্ন জানাতে পারো—
ফোন: +৮৮০১৭৪৬৩১৫৬৩৯
ফেসবুক: facebook.com/mahadihasan24
তোমার স্বপ্ন পূরণে | DUKUAPP